তারেক ও মামুনের ‘আই কন্ট্যাক্ট’ ছাড়া ভল্ট থেকে টাকা বেরহচ্ছে না !
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ দাবি করেছেন, বিদেশের একটি ব্যাংকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে যে ভল্টে তাঁরা টাকা রেখেছেন, তারেক ও মামুনের ‘আই কন্ট্যাক্ট’ ছাড়া সেই টাকা ভল্ট থেকে বের করা সম্ভব নয়। যে কারণে টাকাটা এখনো ফেরত আনা যাচ্ছে না।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আবু সাঈদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল। বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ও তাঁর বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে, ‘খাম্বা তারেকের লুটপাটের কারণে’ এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। এখন বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এনেছে।
সরকারি দলের এই হুইপ বলেন, শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এই কারণে এই মুহূর্তে এটি সংসদে উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। তবে অচিরেই তারেক, মামুনসহ বিএনপির নেতাদের এসব পাচার করা টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং এই টাকাগুলো অবশ্যই ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, তারেক রহমান তাঁর নিজের মামা ও মামার বন্ধুদের প্যাদানি খেয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছেন। আর মামুন এখন দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কারাগারে।
অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী, প্রাণ গোপাল দত্ত, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, উম্মে কুলসুম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Comments
Post a Comment