Posts

সরকার পতন, বিএনপিসহ ৩৬ দলের পদযাত্রা শুরু আজ

Image
 সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) থেকে মাঠে নামছে বিএনপিসহ ৩৬টি দল। গাবতলী থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা করবে দলটি। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে গাবতলী এস এ খালেক বাস স্টেশন সামনে থেকে এ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হবে। সর্বশক্তি দিয়ে কর্মসূচি সফল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকমান্ড। বিশেষ করে রাজধানীতে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক। প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতাদের সর্বোচ্চ নেতাকর্মী নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নিতে বলা হয়েছে। সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও একই কর্মসূচি পালন করবে। রাজধানীর ৯ স্পট থেকে পদযাত্রা বের করবে তারা। কর্মসূচি সফলে সমমনাদেরও রয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। বিএনপির রোডম্যাপ অনুযায়ী গাবতলী-টেকনিক্যাল মোড়-মিরপুর ১, মিরপুর ১০ গোলচত্বর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি

প্রতিশোধ নিলে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্বও থাকত না: শেখ হাসিনা

Image
  নালিশ করে কী হয়? কথায় আছে না—“নালিশ করে বালিশ পাবে, ভাঙ্গা জুতার বাড়ি খাবে”। ওরা কিন্তু ওটাই পাওয়ার যোগ্য জনগণের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রতিশোধ যদি নিতে যেতাম তাহলে ওই বিএনপি বা জামায়াতের অস্তিত্বও থাকত না। যেটা বাস্তবতা। ওরা কী করেছে? এই বিএনপি ক্ষমতায়...জিয়াউর রহমান আসার পরে তো আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, খুন; সেনা বাহিনী-বিমান বাহিনী থেকে শুরু করে কেউ বাদ যায়নি। হাজার হাজার সেনা অফিসার, বিমান বাহিনীর অফিসারকে হত্যা করেছে। সৈনিকদের হত্যা করেছে। আমাদের টুঙ্গিপাড়ার লুৎফরসহ অনেকে এভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। পরিবারগুলো লাশও পায়নি, আপনজনকেও পায়নি। আমিই তো আমার বাবা-মা, ভাই কারো তো লাশও দেখতে পারিনি।' তিনি বলেন, 'টুঙ্গিপাড়ায় এনে আমার বাবাকে সমাধিস্থ করেছিল

গেজেট প্রকাশের পর পুরো ভোট বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে না ইসি

Image
  নির্বাচনে যদি অনিয়ম হয় গণপ্রতিনিধিত্ব সংশোধন আইনে গেজেট প্রকাশের পর পুরো নির্বাচন বাতিল করা ক্ষমতা সংক্রান্ত যে সংশোধী প্রস্তাব দিয়েছিলো নির্বাচন কমিশন তাতে মন্ত্রীসভা সায় দেয়নি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে বৈঠক শেষে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি বলেন, যে সব কেন্দ্রে অনিয়ন হবে নির্বাচন কমিশন শুধু সেই সব কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারবে, এমন বিধান রেখে ‌‌‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নির্বাচনের ফলাফলের প্রজ্ঞাপন (গেজেট) হওয়ার পরও প্রয়োজনে নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনী আনার যে প্রস্তাব ইসি দিয়েছিল আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২-এ বড় সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ইসি। চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, নির্বাচন চলাকালে কোনো ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায়

এখন যদি শোনে, পাত্র সরকারি দল করে কয় আলহামদুলিল্লাহ, এর চেয়ে ভালো পাত্র আর হয় না

Image
 ‘পাত্র হিসেবে এখন সরকারি দলের কর্মীদের বাজার ভালো’ মন্তব্য করে  জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘এখন যদি শোনে, পাত্র সরকারি দল করে তাইলে কয় আলহামদুলিল্লাহ। এর চেয়ে ভালো পাত্র আর হয় না।’

এবার মৃত্যুর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাস্তায় নামব: শামীম ওসমান

Image
  সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে বাঁচাবার জন্য, নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য, বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর জন্য মাথায় কাফনের কাপড় পরে মৃত্যুর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাস্তায় নামব।’ রোববার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় শুক্রবার এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।  শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর যেখানে তার বাবার লাশ ছিল, মায়ের লাশ ছিল সেখানে নামাজ পড়তে চেয়েছিলেন। হাত জোর করে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু জিয়াউর রহমান দেয় নাই। সব ঠেকা জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার? ডেকে ডেকে খাওয়াইতে হবে, খাইলে খাবি না খাইলে না খাবি, আসলে আসবি না আসলে না আসবি। ওই ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এইটা আর ৭৫ সাল হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই চেয়ারে দাঁড়িয়ে আমি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে দুইটা ছবি প্রদর্শন করেছিলাম। উনি আমাকে বলেছিলেন যে, আমি তোকে দেখে নেব। আমি ভেবেছিলাম অন্যভাবে দেখবেন, ক্ষমতায় আসলে জেল-জুলুম দেবেন। যা আমার কাছে নত

পুলিশ বলল ‘নেই’, হাজতখানা থেকে স্বামী চিৎকার করে স্ত্রীকে বলল ‘আছি’

Image
 আইনজীবী এবং মানবাধিকারকর্মী আবুল হোসাইন রাজন। পুরান ঢাকার বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন ২২ জানুয়ারি। এরপর থেকে নিখোঁজ তিনি। পরে রাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করে তাঁর পরিবার। কোথাও হদিস মিলছিল না। রাজনের বাবা ইসমাইল হোসেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ২২ জানুয়ারি মগবাজারের আদদ্বীন হাসপাতালের সামনে থেকে রাজনকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানতে পারেন—তাঁর ছেলে হাতিরঝিল থানা হেফাজতে রয়েছে। খবর পেয়ে ২৩ জানুয়ারি রাজনের বাবা ইসমাইল হোসেন যান হাতিরঝিল থানায়। সেখানে নিজের পরিচয় দিয়ে ছেলে রাজন সম্পর্কে জানতে চান তিনি। কিন্তু, থানা থেকে জানানো হয়—রাজন নামের কাউকে আটক করা হয়নি। এর পরদিন, অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি স্ত্রী শামীমা সুলতানা হাতিরঝিল থানায় যান। তাঁকেও জানানো হয়, ‘এ নামের কেউ থানায় নেই’। তারপর তিনি পুরান ঢাকার বাসায় চলে যান। হাতিরঝিল থানা থেকে তথ্য না পেলেও হাল ছাড়েনি রাজনের পরিবার। হাতিরঝিল থানার সামনে একজন ব্যক্তিকে রাখা হয়, যিনি রাজনের খোঁজ রাখেন। নজর রাখেন পুলিশের গতিবিধির ওপর। ওই ব্যক্তি রাজনকে নিয়ে থানা থেকে পুলিশের গাড়িত

যেসব কথা বলে বাংলাদেশে মার খেয়েছি, সেসব এখন মানা হচ্ছে

Image
  বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগে যেসব কথার জন্য তিনি বাংলাদেশে হুমকি পেয়েছেন ও মার খেয়েছেন, সেসব কথা এখন মেনে নেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের একটি রায়ের বিষয়ে জানাতে গিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন লেখিকা। তসলিমা নাসরিন লেখেন, এক সময়, সেই তিরিশ-চল্লিশ বছর আগে যেসব কথা বলে বাংলাদেশে গালি খেয়েছি, ঢিল খেয়েছি, মার খেয়েছি, হুমকি পেয়েছি, ঘৃণা পেয়েছি, ফতোয়া পেয়েছি, সেসব এখন ধীরে ধীরে মানা হচ্ছে। তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশের হাইকোর্ট আজ রায় দিয়েছেন, ‘পিতৃ পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক হতে পারবেন মা।’ শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় যেকোনো ফরমপূরণের ক্ষেত্রেও মাকে অভিভাবক রাখার নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতদিন অভিভাবকের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাবার নাম দেওয়ার সুযোগ ছিল। নির্বাসিত এই লেখিকা লেখেন, আজ কেউ হাইকোর্টকে হেনস্থা করবে না, যেভাবে আমাকে করেছিল। কেউ কেউ নিজের জীবনের অসুবিধে করে অন্যের জীবনের সুবিধের জন্য কিছু করে যায়। আমার একার দেখা স্বপ্নগুলো বাংলাদেশে একটু একটু পূরণ হবে। আমি যে ব্রাত্য ছিলাম, ব্রাত্যই রয়ে যাব। আমাকে ব্রাত