অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা নিয়ন্ত্রণকারী স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি দিয়ে বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় বন্দি থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না হলে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প এ হুমকি দেন।
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোকে উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘সব জিম্মিকে এখনই মুক্তি দিন। বিলম্বের কোনো সুযোগ নেই। অনতিবিলম্বে আপনাদের হত্যা করা মানুষের লাশ ফেরত দিন। নইলে এখানেই সবকিছুর শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটিই আপনাদের শেষ সুযোগ। হাতে সুযোগ থাকতে এখনই গাজা ছাড়ুন।’
ট্রাম্প বলেন, ‘কাজ শেষ করতে যা প্রয়োজন ইসরাইলকে তাই আমি দেব। আমার কথামতো কাজ না করলে হামাসের একজন সদস্যও নিরাপদ থাকবে না।’
গাজার বাসিন্দাদের তিনি বলেন, ‘গাজাবাসী, আপনাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। কিন্তু যদি আপনারা জিম্মিদের ধরে রাখেন, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিন! চৌকস সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।’
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের হামাসের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনার সংযোগ নিশ্চিত করার কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রাম্পের এমন হুমকি এলো।
এর আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে আমেরিকার মালিকানায় নিয়ে গাজা পুনর্গঠন করে অবকাশ যাপন কেন্দ্র হিসেবে একে গড়ে তোলার পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এ পরিকল্পনায় স্থানীয়দের ‘সুন্দর ভবিষ্যৎ’ কী তা অনিশ্চিত। সমালোচকরা এ পরিকল্পনাকে গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেও একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একমাত্র যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়ই জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব।
এদিকে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও হামাসকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজায় জিম্মিদের এখনো ধরে রাখায় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট তার ‘ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন’।
বুধবার ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, ‘ক্ষীণকায় জিম্মিদের এবং লাশ ফেরতের ভিডিও দেখতে দেখতে তিনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন। এগুলো ভয়াবহ, এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ট্রাম্প যদি কিছু করার কথা বলেন, তিনি করে ছাড়েন। সুতরাং তার কথা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।